বগুড়ার সাতমাথায় আকবরিয়া সুইটস্ এর যাত্রা শুরু
বগুড়ার ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে দই মিষ্টি। যে কোন অনুষ্ঠানে মেহমান আপ্যায়ন হবে আর সে আপ্যায়ন তালিকায় দই মিষ্টি না থাকলে বেমানান হয়ে যায়। বগুড়ায় আপ্যায়নে দই মিষ্টির প্রচলন হয় প্রায় শত বছর আগে। শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান আকবরিয়া এই আপ্যায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালিত করে আসছে। শুধু তাই নয় মিষ্টি দইয়ের খ্যাতি বাংলাদেশ ছাড়িয়ে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পৌঁছে গিয়েছে। দইকে কেন্দ্র করেই বগুড়া জেলা পেয়েছে নতুন পরিচিতি, দই-এর শহর বলা হয় বগুড়াকে।
সুস্বাদু আধুনিক, নতুন স্বাদের হরেক নামের আরো কিছু দই মিষ্টির সমারোহ নিয়ে বগুড়া শহরের সাতমাথায় যাত্রা শুরু করেছে আকবরিয়া সুইটস্। কবির ভাষায়,
‘আমার বাড়ি যাইও ভোমর,
বসতে দেব পিঁড়ে,
জলপান যে করতে দেব
শালি ধানের চিঁড়ে।
শালি ধানের চিঁড়ে দেব,
বিন্নি ধানের খই,
বাড়ির গাছের কবরী কলা
গামছা বাঁধা দই’
কবির কবিতার মত করেই নানা নামের আকবরিয়ার সুস্বাদু দই মিষ্টি নিয়ে ভোক্তাদের আরো দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গত বুধবার সকালে বগুড়ার জিরো পয়েন্ট সাতমাথার স্টেশন রোডে জেলা পরিষদ মার্কেটে আকবরিয়া সুইটস নামে দই-মিষ্টি শাখার শুভ সূচনা করে। করোনাকালে সাধারণ ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় ও ভোক্তাদের সুবিধার কারণে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে দই মিষ্টির স্বাদ গ্রহণে এই শাখার যাত্রা শুরু করা হয়। যাত্রা শুরুর পর থেকেই সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দই মিষ্টি সংগ্রহ করতে থাকে।
গোটা বিশ্বব্যাপি নভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সকলের সুস্থ্যতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে অংশ নেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও বগুড়া আন্ত:জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: আব্দুল মান্নান, আকবরিয়ার লিমিটেডের কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, আমিনুল ইসলাম আখি, শামীম তালুকদার, মো: রাসেল, হারুন উর রশীদ, মো: রমজান, আলমগীর হোসেন, মো: জার্জিস হোসেন, আব্দুল বারেকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।