প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাটক মঞ্চস্থ করে সুনাম বয়ে আনছে কাহালুর পাঁচপীর প্রভাতী থিয়েটার
কাহালু প্রতিনিধি এম এ মতিনঃ হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে এই শ্লোগানকে বুকে ধারন করে ১৯৮৮ সালের ১৪ এপ্রিল বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের তৃর্ণমুলের অজো পাড়া গাঁয়ে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের অন্যতম সহযোগী সংগঠন পথচলা শুরু করে পাঁচপীর বাজার প্রভাতী থিয়েটার। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই মহান মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বাঙ্গালীর প্রচলিত কৃষ্টি-কালচার প্রসার অসম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় এবং সুস্থ-সংস্কৃতিক চেতনাবোধে সৃষ্টিতে প্রথমে এস, এম সোলায়মান রচিত “ক্ষেপা’ পাগলার প্যাচাল” নাটক মঞ্চস্থ করে বন্ধুর পথে মৌলবাদ অধ্যুষিত এলাকায় যাত্রা শুরু করে পাঁচপীর বাজার প্রভাতী থিয়েটার।
নাটক মহড়া করার মতো মঞ্চ কিংবা নুন্যতম অনুকুল পরিবেশ না থাকায় কখনো কোন স্কুলের বারান্দায়, মাঠে কিংবা পতিত ঘাসমুক্ত স্থানে মহড়া চলে অবিরাম। এমন বাস্তবতায় একের পর এক মঞ্চস্থ করে নাটক লিয়াকত আলী লাকীর “রয়েল বেঙ্গল টাইগার”, আমিনুল ইসলাম মুসার “প্রতিনিধি”, ডক্টর সেলিম আল দীনের “বাসন”, গিয়াস উদ্দিন সেলিম এর “ঠারো”, সত্যজিৎ রায়ের “সদগতি”, আব্দুল বাছেদ তনু’র “যতই পড়িবে ততই শিখিবে” নাটক সহ এ পর্যন্ত ৩০টি নাটকের ২৫০টি প্রদর্শন নিজ এলাকার গন্ডি পেরিয়ে জেলা শহর সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাটক মঞ্চস্থ করে। টানা ৩২ বছর ধরে নানা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বন্যা, খরা, শীত, সিডর কিংবা প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাধ্যমতে অসহায় মানুষের পার্শ্বে বারবার দাঁড়িয়েছে পাঁচপীর বাজার প্রভাতী থিয়েটার।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ জনসচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ ও প্রায় ৩০টি পরিবারকে সহযোগিতা করেছে নাটক প্রদর্শন লব্দ অর্থ দিয়ে।
প্রায় তিন যুগ ধরে এমন নানা জনহিতকর কাজে অংশ গ্রহন করলেও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সক্রিয় সংগঠন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড় জেলার সদস্য সংগঠনটির ১৯৮৮ সালে নির্মিত মাটির ঘরটি পাঁচপীর বাজার হাট সংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব কোনায় স্যাত স্যাতা জায়গায় আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। অর্থ অভাবে বসার অনুপযোগী ঘরটি সংস্কার কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।