দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ে বিভক্ত শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপি
শাজাহানপুর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমানঃ দলীয় কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপি। একারণে পৃথক পৃথক ভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
৩০ মে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে রবিবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সেখানে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাকিম, যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক শাহিন সহ আহবায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্য ও দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একই দিন বেলা ৩টার দিকে উপজেলার নয়মাইল বামুনীয়া দাখিল মাদ্রাসা কক্ষে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে অপর একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোরশেদ মিল্টন। এছাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবুল বাশারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে রেষারেষি চলে আসছে। এতে করে বিএনপির তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হাকিম বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। কে কোথায় কি করেছে তা তার জানা নেই।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবুল বাশার বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোরশেদ মিল্টনের নেতৃত্বে এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন, আলোচনা সভা ও মাগফিরাত কামনার মধ্য দিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। যারা আওয়ামী ঘেঁষা, যাদেরকে আন্দোলন সংগ্রামের সময় খুঁজে পাওয়া যায়নি, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে যারা প্রকাশ্যে আওয়ামী প্রার্থীদের পক্ষে থেকেছেন সেই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কসহ অনেককে সদস্য হিসেবে অন্তভূক্ত করা হয়েছে। এরা এসে তাদের নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য নিস্ক্রিয় ব্যক্তিদেরকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ঢোকানো হচ্ছে। অথচ যারা দুঃসময়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, মামলা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই সমস্ত ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাই তারেক রহমানের অনুপ্রেরণায় এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মোরশেদ মিল্টনের নেতৃত্বে যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ সেই সমস্ত ত্যাগী, সিনিয়র নেতা-কর্মীদের নিয়েই দলীয় কর্মসূচী পালন করে আসছেন।