শেরপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ৪ আহত ১৪
শেরপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ৪ আহত ১৪
বগুড়া সংবাদ ডটকম (শেরপুর প্রতিনিধি) :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ৩ ঘন্টার ব্যবধানে ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে চালক ও সুপারভাইজারসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জনে। এ ঘটনায় ১৪জন আহত হয়েছে। নিহতরা সৃষ্টি বাসের চালক রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার কারফিখার এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে রওশন (৩৫), নিলফামারীর ডিমলা থানার খোকার খড়িবাড়ী এলাকার সিরাজুলের ছেলে রেজাউল করিম সাগর (২৩), একই এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে মোস্তফা (১৮), পশ্চিম শাওতা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে বাবলু (৫০)। আহতরা হলেন, দুই বাসের রনি (২০), ফরিদুল ইসলাম (২০) আল আমিন (২০), ফজলা মিয়া (৫০), আজিদুল ইসলাম (৩০) সিরাজুল ইসলাম (৩৫) এবং পিকআপসহ তিনটি ট্রাকের আহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দিবাগত রাত্রি ২টা থেকে শনিবার (২০ মার্চ) ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত দশমাইল, ছোনকা ও ঘোগা বটতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকাগামী নাবিল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫৫২২) উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের দশমাইল এলাকায় পৌছালে বগুড়াগামী সৃষ্টি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৬১৪৪) মুখোমুখী সংঘর্ষ এতে গাড়িগুলো দুমড়ে মুছড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে সৃষ্টি পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজার মারা যায়। দুই বাসের সাত জন আহত হয় এদের মধ্যে ২জনকে আশষ্কাজনক অবস্থায় শেরপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১১টায় সেখানে মারা যায়।
এ বিষয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স রতন হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং নিহতদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। অন্যদিকে, ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা বগুড়া মহাসড়ের ছোনকা এলাকায় ঢাকাগামী একটি ট্রাক ঘুমের মধ্যে পিকআপের পেছনে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরিত গামী অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমূখী সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ জন আহত হয়। আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ভোর ৪টায় ঘোগা ব্রিজের সামনে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার মাঝে উল্টে চালক ও হেলপার আহত হয়েছে। তিন ঘন্টার ব্যবধানে তিনটি দুর্ঘটনায় রাস্তায় ব্যপক যানযট সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ীগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়েছি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান বলেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।