fbpx
শেরপুর

শেরপুর আলিয়া মাদ্রাসার জায়গা দখলের অভিযোগ

বগুড়া সংবাদ ডটকম (শেরপুর প্রতিনিধি)
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বগুড়ার শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। চাঁদার টাকা না পেয়ে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন ও তার লোকজন মাদ্রাসার জায়গায় জোরপূর্বক টিনের ঘর তুলেছেন। ঘটনাটি জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ একাধিক সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (০৮মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটায় শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, উপজেলার খন্দকারটোলা মৌজায় মাদ্রাসার এক একর পয়ষট্টি শতক জমি রয়েছে। একটু নিচু হওয়ায় এসব জমিতে পানি জমে থাকায় দীর্ঘদিন থেকে অনাবাদি হিসেবে পড়ে থাকে। তাই ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে মাদ্রাসার গভর্নিংবডি অনাবাদি এসব জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। তবে জমি বিক্রির টাকায় সমপরিমান জমি ক্রয় ও অবশিষ্ট টাকায় অবকাঠামো নির্মাণের শর্ত জুড়ে দিয়ে জমি বিক্রির এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক যথাযথ নিয়ম মেনে জমি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে দশ থেকে বারো শতক জমি বাদে বাকি সব জমিই বিক্রি হয়ে গেছে। এরইমধ্যে খন্দকারটোলা গ্রামের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন মসজিদ নির্মাণের নামে পাঁচ শতক জায়গা ক্রয়ের সব টাকা দাবি করেন বসেন। চাঁদা হিসেবে উক্ত টাকা না দিলে মাদ্রাসার জায়গা বেদখল দেওয়ার হুমকি দেন।
অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে আরও বলেন, ইউপি সদস্যের দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে নানাভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন ওই ইউপি সদস্য ও তার লোকজন। এমনকি গত কয়েকদিন আগে মাদ্রাসার জায়গায় রাতের আঁধারে জোরপূর্বক টিনের ঘরও তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান লিটন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খন্দকারটোলা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রতারণা করেছেন। মাদ্রাসায় জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করার জন্য প্রতিশ্রæতি দিয়ে এখন সেটি অস্বীকার করছেন। তাই গ্রামের লোকজন সেখানে টিন দিয়ে নামাজ ঘর তুলেছেন। তবে এসব কর্মকাÐের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ এ প্রসঙ্গে বলেন, মাদ্রাসার জায়গায় জোরপূর্বক ঘর তোলার সুযোগ নেই। তাই ঘটনাটি জানার পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শেরপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ঘটনাটি মোখিকভাবে শুনেছি। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =

Back to top button
Close