শিবগঞ্জে এক অসহায় পঙ্গু পরিবারের আর্তনাত সাহায্য চেয়েছেন সমাজের বৃত্তবানদের কাছে
বগুড়া সংবাদ ডট কম রশিদুর রহমান রানা শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ পেশা ছোট কিন্তু দায়িত্ব অনেক বড় বলছিলাম শিবগঞ্জ উপজেলার উথলী গ্রামের শ্রী দুলাল চন্দ্র দাসের কথা। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১৫ বছর ধরে তিনি শুকুর এর পাল চড়ান। ১২৫টি শুকুর নিয়ে যাচ্ছিলেন সিরাজগঞ্জ। পথে সিরাজগঞ্জ বাজার রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় ৬টি শুকুর দল ছুট হয়ে উঠে যায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের উপর। কাল ক্ষেপন না করে দ্রুত ৬টি শুকুর ফিরিয়ে আনতে ছুটে যান দুলাল চন্দ্র দাস। কারণ মহা সড়ক সব সময় যান বাহান চলাচলে ব্যস্ত থাকে। যদি কিছু হয়ে যায়, মালিককে কি জবাব দিবে। কিন্তু বিধিবাম মহা সড়কের উপর উঠা মাত্রই দ্রæত গতিতে ছুটে আসা একটি পালসার মটর সাইকেল ৫ আগষ্ট সজোরে ধাক্কা দেন তার শরীরে। এলাকার লোকজন দ্রæত ছুটে এসে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার তার চিকিৎসা শুরু করেন। এতে তার ডান পা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। বাম পা গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং বাম হাতের কন্টার হাড় ভেঙ্গে যায়। পড়নের কাপড়ের সঙ্গে মটর সাইকেল বেধে ছেচড়ে যান প্রায় ১৫ ফুট পর্যন্ত। এতে করে তিনি আরো বেশী আঘাত প্রাপ্ত হন। মাথায় প্রচন্ড রক্তাক্ত জখম হয়ে দিতে হয় ২০টি সেলাই। কানেও দিতে হয় ৫টি সেলাই। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ১৯দিন পূর্বে চিকিৎসা সেবা নিয়ে ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসেন। শুরু হয় পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে পথ চলা।
২ সন্তান, ১ স্ত্রী ছোট্ট সংসার তার। আয় করার মত পরিবারে কেউ নেয়। ছেলে শ্রী রাজ কুমার সবুজ ৪ বছর, মেয়ে শ্রীমতি কুমারী কেয়া ৬ বছর। স্ত্রী শ্রীমতি তরনীদরদী দাস ৩০ বছর হলেও দুঃচিন্তাই ভেঙ্গে পড়েছে। দেখে মনে হয় ৪০ আর্ধ বয়স। বাস করেন টিনের ছাউনীর একটি ঝুপরি ঘরে। কোন রকমে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবীকি নির্বাহ করে। কিন্তু এতো দিনে পঙ্গু স্বামীর পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় সংক্রামন বাসা বেঁধেছে। স্থানীয় চিকিৎসক সৈয়দ জামান বিনা পয়সায় ক্ষতস্থান পরিষ্কার করিয়া দিলেও ঔষুধের অভাবে সংক্রমন রোধ করতে পারেনি। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে অধ্যক্ষ ডাক্তার রেজাউল আলম জুয়েল এর পরামর্শে ১৬ আগষ্ট ভর্তি করে দেন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে শুরু আবারও চিকিৎসা কার্যক্রম। ডাক্তার বলেন, তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন। প্রায় লক্ষাধিক টাকা প্রয়োজন হওয়ায় মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে দুলাল দাসের পরিবারের । শুকুরের পালের মালিক সিরাজগঞ্জ জেলার সাজাদপুর থানার জমিরতে গ্রামের শচিন কুমার দাসের ছেলে স্বপন কুমার দাস চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা খরচ করেন। বর্তমানে সেও আর তেমন খোজ রাখেন না। তাই তার পঙ্গু অসহায় সমাজের বৃত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের কাছে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের অনুরোধ করেছেন। যদি কেহ এই অসহায় পঙ্গু পরিবারের কে সাহায্য করতে চান তাহলে তবে তার বিকাশ ০১৭৫৮৬১৭৩৫৩ নম্বরে প্রদান করলে পরিবারটি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। তার সঙ্গে সরাসরি যোযোগের নম্বর ০১৭৩৬১২৩৮৩৯। বর্তমানে সে বগুড়া শজিমেকে হাসপাতালের ৪র্থ তলায় অর্থো- ইউনিট-২, কক্ষ নং- ৪১৯,বেড নং-২৯ এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।