বেগম মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন বঙ্গমাতা ফজিলতুন্নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস …………চিত্রনায়িকা মৌসুমী
বগুড়া সংবাদ ডট কমঃ আজ ৮ আগস্ট ২০২০ইং রোজ শনিবার সকাল ৯.৩০টায় বনানী কবরস্থানে বেগম মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অরুন সরকার রানা, চিত্রনায়িকা প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, চিত্রনায়ক সাকিল খান, চিত্রনায়িকা শাহনুর, এম.এ মিলন এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পীরা বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মোনাজাত করেন। পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শাহবাগ থানা শাখার উদ্যোগে সেগুনবাগিচা অস্থায়ী কার্যালয়ে দিলীপ সরকারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, চিত্রনায়িকা প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, চিত্রনায়ক সাকিল খান, চিত্রনায়িকা শাহনুর, এম.এ মিলন, হাবিবুল্লাহ রিপন-সহ জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেছেন, বঙ্গমাতা ফজিলতুন্নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর একজন যোগ্য, বিশ^স্ত সহচর বাঙালি মুক্তি সংগ্রামে বিশ^স্ত সহযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় নিজের ঘরের আসবাবপত্র, অলঙ্কার বিক্রি করেও দল ও নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হয়েও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন তিনি। তাঁর বাড়িতে কোন বিলাসী আসবাবপত্র ছিল না, মনে ছিল না কোন অহংবোধ। তাঁর সদয় আচরণ ও বিনয়ে মুগ্ধ ছিল সবাই। আন্তÍর্জাতিকভাবে দেশকে তুলে ধরতেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তার সঙ্গে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীর বেশ ভাল সখ্যতা ছিল।
বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশ সফরে এলেও বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকতেন অসম্ভব প্রাণশক্তিতে বলীয়ান এই মহীয়সী নারী। সহধর্মিণী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ইতিহাসের কালজয়ী মহানায়কের অনুপ্রেরণাদায়িনী হয়ে পাশে ছিলেন। বঙ্গমাতার আদর্শে গড়ে উঠুক এদেশের নারীরা। তার আদর্শে আপন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে নারীর ক্ষমতায়নে দৃষ্টান্ত হোক বাংলাদেশ। ৯১তম জন্মদিনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতি পরম শ্রদ্ধাঞ্জলি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর বিখ্যাত ভাষণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি। শুধু তাই নয়, বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। আর এই ভাষণেরও মূল সাহস জুগিয়েছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ওই ভাষণে কী বলতে হবে, কার কথা বলতে হবে, খুব কাছে থেকে শেখ মুজিবকে পরামর্শ দিয়েছিলেন বেগম মুজিব। একজন মুজিব না হলে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। কিন্তু এই একজন মুজিবকে যিনি তিল তিল করে গড়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন, কঠিন বিপদের সময়েও ভালোবাসার হাত দুটো শক্ত করে ধরে রেখেছেন, সহজ-সরল প্রকৃতির সেই মানুষটি হলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একজন আটপৌরে বাঙালি রমণী হয়ে যে স্বকীয় ছাপ রেখেছেন, বিশেষ করে বাঙালি রাজনীতির ইতিহাসে, মুক্তিযুদ্ধের কঠিন পরিস্থিতির ভেতর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করাসহ নিজের ছেলেদের যুদ্ধে পাঠানো এবং চূড়ান্ত বিজয় স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে সমাজ-সভ্যতা বিনির্মাণে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা চিরস্মরণীয় ও নারী সমাজের জন্য অনুকরণীয়।