সোনাতলায় একশ’ পরিবারের বাড়িঘর বাঙালী ও যমুনা নদী গর্ভে বিলীন।
বগুড়া সংবাদ ডট কম সোনাতলা (বগুড়া) সংবাদদাতাঃ সোনাতলায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বন্যায় বাঙালী ও যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ও রংরারপাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম। ইতোমধ্যে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও আখিরুল ইসলামসহ ৫/৬টি পরিবারের বসত বাড়ির অধিকাংশ জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেইসাথে বিলীন হয়ে গেছে নানা প্রকার গাছপালা।
ছবিটি নিশ্চিন্তপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়ির ছবি।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবারগুলো। বর্তমানে তাদের বাড়ির জায়গা রয়েছে সামান্য টুকু। এটুকুও যেকোন মূহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাড়ির জায়গা পুরোটাই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে অন্য কোথাও বাড়িঘর নির্মাণ করার সামর্থ নেই বলে ক্ষতিগ্রস্ত জহুরুল ইসলাম দুঃখের সাথে জানান। তিনি আরো জানান গত ৩/৪ বছর ধরে বাঙালী নদী ভাঙ্গনের ফলে আমরা নিঃস্ব হয়েছি। অতি কষ্টে আছি পরিবার-পরিজন ও গবাদি পশু-পাখি নিয়ে। ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘুম ধরে না রাতে। শান্তি পাইনা কোথাও যেয়ে। এভাবেই দিন কাটছে প্রতি নিয়ত। সরকারি উদ্যোগে মজবুত ভাবে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এ গ্রামের ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। এদিকে সোনাতলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলু জানান, বন্যার কারণে নামাজখালী,রংরারপাড়া,খিতাবেরপাড়া,বিশ্বনাথপুর ও চরবিশ্বনাথপুর গ্রাম ক্রমান্বয়ে বাঙালী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব গ্রামের মানুষ। ভাঙ্গন রোধ না করলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অসিম কুমার জৈন নতুন জানান, বিলীন হয়ে যাচ্ছে মধুপুর,চরমধুপুর ও দড়িহাঁসরাজ গ্রামের আবাদি জমি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত যমুনা ও বাঙালী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় একশ’ পরিবারের বাড়িঘর। যখন পানি কমতে থাকবে তখন ভাঙ্গনের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।