শেরপুৃরে রাতের আধারে খামারিদের বাড়িতে গো-খাদ্য, জীবানুনাশক নিয়ে ডা. রায়হান পিএএ
বগুড়া সংবাদডটকম ( শেরপুর প্রতিনিধি কামাল আহমেদ)
বগুড়ার শেরপুরে করোনা দুর্যোগে দীর্ঘ সময় লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ দুইশতটি অসহায় খামারি যারা গাভির দুধ বিক্রির টাকায় পুরো সংসারের ভরণপোষণে নির্ভরশীল এমন খামারিদের সহায়তায় হাত বাড়িয়েছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন (জনপ্রশাসন পদক প্রাপ্ত) স্বপ্ন ছোঁয়ার সিড়ি মডেলের উদ্যোক্তা ডা: মো. রায়হান পিএএ। বুধবার (৮ এপ্রিল) শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে খামারিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খামারিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করেই পৌছে দিচ্ছেন দানাদার গো-খাদ্য, প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র, জীবানুনাশক, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মিনি স্প্রেয়ার মেশিন।
জানা যায়, দুধ,দই এবং দেশি মুরগির বাণিজ্যিক উৎপাদনে বিখ্যাত এই শেরপুর উপজেলার শতকরা আশি ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সাথে জড়িত, রয়েছে চার
হাজারের উপরে ডেইরি খামার যেখানে প্রতিদিন দুধ উৎপাদন হয় প্রায় ষোল হাজার লিটার, তিন হাজারের উপরে হৃষ্ট-পুষ্ট খামার,২ হাজারের উপরে সোনালি মুরগির খামার,তিন হাজারের বেশি ব্রয়লার মুরগির খামার,এক হাজারের অধিক বাণিজ্যিক ভিত্তিক দেশি মুরগির অরগানিক খামার সহ বিপুল সংখ্যক ছাগল, ভেড়া, গাড়ল, হাঁস, কুয়েল, কবুতরসহ পোষা প্রাণীর বাণিজ্যিক খামার।
উৎপাদিত দুধ, মুরগি, মুরগির বাচ্চা বিক্রি করতে না পারলেও গোখাদ্য, মুরগির খাদ্য, ঔষধপত্র ঠিকই চড়া মুল্যে কিনতে হচ্ছে ফলে বিশাল ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছে খুদ্র, মাঝারি, বড় আকারের প্রাণিসম্পদ উদ্যোক্তারা, হুমকির মুখে পড়ছে ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্প। এ বিষয়ে উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান পিএএ বলেন, বগুড়ার শেরপুর উপজেলা যেখানে বেশির ভাগ মানুষের দৈনিক রুটি রোজগারের একমাত্র খাত এবং চাকুরির বিকল্প করপোরেট খাতে রুপান্তরিত প্রাণিসম্পদ সেক্টরটি। দেশের এই ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে থাকার জন্যই মানবিক বিবেচনায় ছুটির মধ্যেও ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নৈতিক দায়িত্ব থেকেই খামারিদের পাশে দাঁড়ানো এমন কাজের উদ্যোগ গ্রহন করেছি। এমনকি চিকিৎসাসেবাও অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে সেবার অভাবে একজন মানুষও যেন ক্ষতি গ্রস্থ না হয়। এ সকল দিক বিবেচনায় রেখে প্রান্তিক খামারীদের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছি।