শেরপুরে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সংবাদ সম্মেলন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাদেরের দূর্ণীতির বিচার দাবি
বগুড়া সংবাদ ডটকম ( শেরপুর প্রতিনিধি )
বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল কাদের এর দূর্ণীতির বিচার দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) বেলা ১১ টায় শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডস্থ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শেখর লাল কুন্ডু বলেন, শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল কাদের ব্যাক্তিগত অনিয়ম ও দূর্নীতি আড়াল করার জন্য কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিনের বিরুদ্ধে গত ১৩ই জানুয়ারী শেরপুর থানায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। ডাঃ আব্দুল কাদের একজন নন-ক্যাডার (বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারভুক্ত নয়) দূর্নীতিবাজ সুচতুর ব্যক্তি। তিনি সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ২০১৯-২০২০ ইং সালের পথ্য সরবরাহের জন্য গত ৬ই অক্টোবর ২০১৯ইং তারিখে একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গোপনে দরপত্র আহবান করেন। এরপর ২৮ শে অক্টোবর দরপত্র বাক্স খোলা হলেও দরপত্র দাতাদের নোটিশ মারফত জানান নি। অনৈতিক সুবিধা লাভের আশায় এর প্রায় তিন মাস পর তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি নিজ উপজেলায় দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অফিস প্রধান হিসেবে ক্যাম্পাসে থাকার বিধান থাকলেও তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে বগুড়ায় থাকেন। সরকারি বরাদ্দকৃত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামে জীপ গাড়িটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন এবং বগুড়ায় নিজ বাড়ীতে রাখেন। তার অবহেলায় হাসপাতালের বহি:বিভাগ, অন্ত:বিভাগ ও জরুরীবিভাগের রোগীরা ঠিকমত ঔষধপত্র পান না। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি ঔষধ বাহিরে বিক্রির অভিযোগ আছে। এমনকি প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ঔষধ চুরির ঘটনায় তদন্তে হাসপাতালের স্টোর কিপার বিরাজ আলী মন্ডলের নাম বেরিয়ে আসলেও তিনি আড়ালে থেকে যান। এছাড়া হাসপাতালে কর্মচারী কর্মকর্তার ট্রেনিং এর জন্য চাঁদা আদায় করেন। সরকারি বরাদ্দের টাকায় হারবাল বাগানের নামে টাকা লুটপাট করেন। ডেঙ্গুর বরাদ্দকৃত কয়েক লক্ষ টাকা তিনি আত্মস্যাৎ করেছেন। হাসপাতালে ইনডোর রোগীদের সাথে নার্সদের খারাপ ব্যবহার ও ডেলিভারী রোগীদের নিকট থেকে প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পর্যাপ্ত পরিমান ঔষধ সরবরাহ থাকা স্বত্বেও জরুরী বিভাগে ডাঃ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে ইনচার্জ গোলাম মুর্তজা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে অবৈধভাবে বিভিন্ন রোগীর কাছ থেকে সেলাই করা, সেলাই কাটা, ড্রেসিং করা ও প্লাস্টার করার নামে বিভিন্ন ভাবে টাকা আদায় করেন। এছাড়া ইনজুরি সার্টিফিকেটের নামে সাধারণ লোকজনের সাথে বাণিজ্য করেন। জরুরী বিভাগের ইনচার্জ দীর্ঘদিন যাবত চাকুরী করার সুবাদে অনিয়মকে নিয়ম করে ফেলেছেন। তিনি ব্রাদার হওয়া সত্বেও নির্ধারিত জায়গায় ডিউটি না করে ডাঃ আব্দুল কাদেরের প্রশ্রয়ে জরুরীবিভাগের বরাদ্দকৃত ঔষধ বাহিরে বিক্রি করেন। ডাঃ আব্দুল কাদের গাছ বিক্রি, খাবারের অনিয়ম সহ নানা দূর্নীতির সাথে জড়িত। ডাঃ আব্দুল কাদের এসব বিস্তর অপকর্ম ঢাকার জন্য বগুড়ার জনপ্রিয় ব্যক্তি বগুড়া জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি, গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ ও থানায় জিডি করেন । এসময় তাঁরা দূর্নীতিবাজ ডাঃ আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান । উক্ত সংবাদ সম্মেলনে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মোকারিম হোসেন,সহ-সভাপতি মোকাবেøল হোসেন, সদস্য আকরাম হোসাইন, শ্যামল কুমার দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতেই ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা এসব অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই বলে তিনি দাবি করেন।