ধুনটে জমি দান করেও চাকরি মেলেনি : টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য সভাপতির
বগুড়া সংবাদ ডট কম (ধুনট প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন) : বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাতটিকরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেও চাকরি মেলেনি দাতা পরিবারের সদস্যের। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাজাদ হোসেন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন অভিযোগ করেছেন সাতটিকরী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও মর্জিনা খাতুন নামে দুই জমিদাতা। স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সাতটিকরী গ্রামে ২০০৯ সালে ‘সাতটিকরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজ’ প্রতিষ্ঠার জন্য ওই গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ১৪ শতক ও একই গ্রামের জালাল উদ্দিন মন্ডলের মেয়ে মর্জিনা খাতুন ১৮শতক জমি দান করেন। দেলোয়ার হোসেন তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও ফেরদৌস এবং মর্জিনা খাতুন তার ছেলে আব্দুল মজিদ ও মজনু মিয়ার চাকরির আশায় তাদের শেষ সম্বল জমিটুকু দান করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই গ্রামের আমজাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার পছন্দ মতো লোকজন নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দাতা পরিবারের কাউকে চাকরি না দিয়ে তার পছন্দের লোকজনকে চাকরি দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এবিষয়ে ২০১০ সালে দাতা সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে বগুড়া জেলার সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে সম্প্রতি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে গত ১০ বছরে চাকরি ও জমি কোনটাই না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে জমিদাতা পরিবারের সদস্যরা। দাতা সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও মর্জিনা খাতুন জানান, সন্তানের চাকরির আশায় নগদ টাকা ও জমি দান করেও চাকরি মিলছে না। আমাদের দুজনের দানকৃত সম্পত্তির বর্তমান মূল্য প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আমজাদ হোসেন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ প্রদানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এবিষয়ে তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কমনা করেছেন। তবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আমজাদ হোসেন তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের জমি দান করা বিষয়টি সত্য। তাই বিষয়টি আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।