ক্রেতা বিক্রেতায় মুখরিত কুরবানীর পশুর হাট ।। বগুড়ার মহাস্থানে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুরবানীর পশুর হাট
বগুড়া সংবাদ ডট কম (মহাস্থান প্রতিনিধি এস আই সুমন) : আসন্ন কুরবানি ঈদের আর মাত্র ৪দিন বাকি। এ সংকীর্ণ সময়ে হাট বারের শেষ বুধবার বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কুরবানীর গরু-ছাগলের হাট। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল আযহা। সর্বোচ্চ ত্যাগ তিতীক্ষার এ উৎসবে মুসলিম উম্মাহ পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পশু কুরবানী করা হয়। বগুড়া জেলার বিভিন্ন হাটে কুরবানী পশু ক্রয় বিক্রয় করতে দেখা গেলেও মহাস্থান হাটের মত এতটা জমজমাট দেখা যায়নি। বুধবার মহাস্থানহাটের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরু-ছাগলের এ পশুহাটটিতে উপচে পড়া ভিড়। গরু, ছাগলের সাথে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট এ হাটে পা ফেলা দুস্কর। বুধবার সকাল থেকেই দূর-দূরন্ত থেকে গরু-ছাগল নেয়ে বিক্রেতারা হাটে আসতে শুরু করে। দুপুর থেকেই বৃহৎ এ হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণা ও বেচাকেনাতে মুখরিত হয়ে ওঠে। অবশ্য গরুর সংখ্যাই বেশি। ইতিপূর্বে এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দর-কষাকষির চিত্র বেশি দেখা গেলেও শেষ হাটে তা দেখা যায়নি। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পশু কেনাবেচার চেষ্টা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। ক্রেতারা দেখে-শুনে পছন্দের গরুটির দরদাম করছেন। পছন্দ হলে ন্যায্য দামে কিনে খুশি মনে পশু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। হাটের চারপাশ ঘুরে দেখা যায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিলো লক্ষণীয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিয়েছে হাট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের পক্ষ থেকে জাল বা নকল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারি রেখেছেন তারা। ফলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। আগামি শনিবারও পশু হাট হবে বলে হাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। বগুড়ার সদরের ধলমোহনী এলাকা থেকে আসা গরু বিক্রেতা বজলুর রশিদ জানান, ভারত থেকে গরু এবার এই হাটে কম এসেছে তারপরেও দাম অনেকটা কম। তার গরু দেড় লাখ টাকা হাকান হলেও তিনি ২লাখ টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন। আসায় এবার গরুর দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।এদিকে, ক্ষোভ প্রকাশ করে সদরের পীরগাছা এলাকা থেকে আসা ক্রেতা তাজুল ইমলাম জানান- ‘অন্যবারের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি। মহাস্থানহাটে চন্ডিহারা এলাকার খামারী রাহাত খানের সবচেয়ে বড় ২টি গরু দাম করা হয়েছে ১৮লাখ টাকা তিনি ২০লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা উৎসব মুখর পরিবেশে গরু ছাগল বিক্রি করলেও শেষ বিকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।মহাস্থান হাট ইজারাদার ও সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম সফি জানান, হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাট চলা কালিন সময়ে মহাসড়কে যানজট রোধে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। হাটের জায়গা সংকুলান না হওয়ায়, শিবগঞ্জ রোড, ডাকবাংলো রোড, কলেজের পিছনের রাস্তায় প্রচুর পরিমানে গরু দেখা যায়।