সরকারী ভাবে আমন ধান সংগ্রহ শুরু শাজাহানপুরে উৎপাদনের তুলনায় ধান সংগ্রহ নিয়ে কৃষকের অসন্তোষ
বগুড়া সংবাদ ডট কম (শাজাহানপুর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান) : উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য যাতে কৃষকের হাতে পৌঁছে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৯-২০২০ মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারী ভাবে অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহ শুরু করেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। অপরদিকে উৎপাদনের তুলনায় সরকারী ভাবে ধান সংগ্রহের পরিমান নগন্য হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা বেতগাড়ীস্ত খাদ্য গুডাউনে ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ধান সংগ্রহ চলবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বরেণ্য অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান দুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাজাহানপুর উপজেলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি এম সুলতান আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা। অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল হান্নান, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর রুহুল কুদ্দুস ডিলু আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম মুক্তা, মোর্শেদুল আলম হিরু, যুবলীগ নেতা বাদশা আলমগীর, আসাদুজ্জামান লিটন, ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রঞ্জু, মিন্টু মিয়া সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর ই আলম জানান, এই উপজেলায় ৪২ হাজার কৃষক পরিবার। যার অনুকুলে ২৮ হাজার ৮২৮ টি কৃষি কার্ড বিতরন করা হয়েছে। এবছর ১৩ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে ৫৮ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। সেখান থেকে সরকারী ভাবে ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৩৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। কৃষকেরা যাতে সরাসরি ধান দিতে পারেন সে জন্য লটারীর মাধ্যমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের কৃষি জমির উপর ভিত্তি করে বিভাজনের মাধ্যমে ১ হাজার ৫৩৫ জন কার্ডধারী কৃষককে নির্বাচিত করা হবে। একজন কৃষক ১ মেট্রিক টন ধান দিতে পারবে। সেদিক থেকে আশেকপুর ইউনিয়নের ২১৯ জন, মাদলা ১৪১, মাঝিড়া ১১৭, আড়িয়া ১৪৬, খরনা ২৮০, গোহাইল ২৬০, খোট্টাপাড়া ৯৮, চোপীনগর ৯৯ এবং আমরুল ইউনিয়নের ১৭৫ জন কৃষক তাদের উৎপাদিত আমন ধান সরকারী গুডাউনে দিতে পারবেন। ধান দিতে আসা অনেক কৃষক জানান, উৎপাদনের তুলনায় সরকারী ভাবে ধান সংগ্রহ অতি নগন্য। অন্তত উৎপাদনের এক চতুরাংশ ধান সরকারী ভাবে সংগ্রহ করা হলে কৃষকেরা বেশী উপকৃত হত। পাশাপাশি ধান চাষে আগ্রহ বাড়তো। তাছাড়া অনেক সময় কর্তৃপক্ষের উদসিনতায় কৃষকেরা সরাসরি ধান দিতে পারে না। ক্ষমতাসিন দলের নেতারা সিন্ডিকেট করে গুডাউনে ধান ঢুকায়। এর থেকে পরিত্রাণ পেলে কৃষকেরা আরো বেশী উপকৃত হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু জানান, এ বছর থেকে সিন্ডিকেটের কোন সুযোগ নেই। অন্তত যতদিন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন ততদিন কেউ কোন সিন্ডিকেট করতে পারবে না। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকেই ধান সংগ্রহ করা হবে।