শেরপুরে লবন বেশি দামে বিক্রয় করায় ব্যবসায়ীর জরিমানা
বগুড়া সংবাদ ডটকম ( শেরপুর প্রতিনিধি কামাল আহমেদ) : বগুড়ার শেরপুরে লবণের দাম বেড়ে যাচ্ছে এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে সারা উপজেলাজুড়ে। এমন গুজবে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েন শেরপুর হাটখোলার খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে। এদিকে লবণের দাম বৃদ্ধি শুনে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী সেখ হাটখোলার দোকানগুলো অভিযান চালান । এ সময় আকাশ দত্তর পাইকারী দোকান ভাই ভাই ষ্টোর ৫০ কেজি বস্তা ৫শ টাকার স্থলে ১২শ টাকা বিক্রয় করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর সকাল থেকেই লোকমুখে লবণের মূল্য বেড়ে যাওয়ার খবর শুনে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেরপুর হাটখোলা, রেজিষ্ট্রিঅফিস, দুবলাগাড়ী, বটতলা, মির্জাপুর, মহিপুর, বাসষ্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ক্রেতাদের সামাল দিতে দোকানীদের বেগ পেতে হয়। ছোট-বড় দোকান গুলোর ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় লবণ বিক্রি বন্ধ করে দেয়। বাজার ঘুরে দেখা যায়, লবণ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। এই সুযোগে অনেক লবণ ব্যবসায়ী বিক্রয় করছেন কেজি প্রতি খোলা লবন পাইকারি ১৪ টাকা ছিল, বর্তমানে বিক্রয় হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ক্রেতাদের দাবি লবণের দাম বাড়তে যাচ্ছে এমন খবর শুনেছে তাই বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে। তবে কোথায় এমন সংবাদ শুনেছেন এ কথা কেউ বলতে পারেননি। ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব বলেন, লবণের দাম বাড়ার গুজবে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। একেকজন ২ থেকে ১০ বস্তা লবণ কিনছেন। তিনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬০০ বস্তা লবণ বিক্রি করেছেন। লবণ কিনতে আসা শাহিন, রফিক জানান, লোকেমুখে শুনছি লবণের দাম বেড়েছে। আগামীকাল থেকে আরো কয়েকগুণ বাড়তে পারে-এই আশঙ্কায় আজকে অনেকে লবণ কিনে রাখছেন। কারণ পেঁয়াজের মতো লবণও সংকট দেখা দিতে পারে। দুবলাগাড়ীর পলাশ বলেন, ‘মানুষের মুখে শুনছি পেঁয়াজের মতো লবণের দামও বাড়বে। তাই আমি ১২ কেজি লবণ কিনে রেখেছি।’ শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ বলেন, যারা এ গুজব রটাবে বা কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য মজুত রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান তিনি।