রোজগারের শেষ সম্বলকে হারিয়ে দিশেহারা কিশোর জিহাদের দরিদ্র পরিবার
বগুড়া সংবাদ ডট কম (শাজাহানপুর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান) : সংসারের আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে একটি দরিদ্র পরিবার। কিস্তির টাকা আর চার সদস্যের দরিদ্র পরিবারটির পেটের ভাত জোগাতে না পারার আশংকায় ভেঙ্গে পরেছে পরিবারের একমাত্র উপার্যক্ষম ব্যক্তি ভ্যান চালক তের চৌদ বছর বয়সি জিহাদ নামের এক কিশোর। কিশোর জিহাদ উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র-কুষ্টিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র। জিহাদ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের মত অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্টের সেনাস্বরনী থেকে একজন বৃদ্ধ লোককে নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নামিয়ে দেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকায় রাস্তায় হাইওয়ে পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ফেরার সময় বগুড়া-নাটোর সড়কের শাকপালা, রানীরহাট দিয়ে খালি ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। শাকপালা পৌছার একটু আগে রাস্তার উপর পাঁচজন লোক পথরোধ করে দাঁড়ায়। এদের মধ্যে একজনের মুখে দাঁড়ি ছিল। আর একজনের মুখোশ পড়া ছিল। দুইজন লাফ দিয়ে উঠে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। অন্যরা ভ্যান চালক জিহাদকে টেনে হিচড়ে রাস্তার পশ্চিম পাশে ইটপাড়া রাস্তার গলির মধ্যে নিয়ে গিয়ে মারপিট করতে থাকে। এসময় চিৎকার করলে তারা দৌড়ে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ালে একটি মোটরসাইকেল এসে তাদেরকে নিয়ে যায়। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। জিহাদ আরো জানায়, তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সব ছোট। বড়ভাই বিয়ে করে আলাদা থাকে। মেঝোভাই বেকার। বাবা একসময় অটোটেম্পু চালাতেন। হাইওয়ে পূলিশের ভয়ে এখন আর টেম্পু চালান না। গত কয়েক মাস ধরে বাবা অসুস্থ হয়ে বাড়িতে বিছানায় শুয়ে রয়েছে। মাও অসুস্থ। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান কিনে সংসারের হাল ধরেছে সে। সে এখন এই দরিদ্র সংসারের একমাত্র উপার্যক্ষম ব্যক্তি। ভ্যান চালিয়ে যা পায় তাই দিয়ে চার সদস্যের এই দরিদ্র পরিবারের সদস্যের পেটের ভাত জোগতো। এমতাবস্থায় এই ভ্যানটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এই দরিদ্র পরিবারটি। কৈগাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হরিদাস মন্ডল জানান, মৌখিক
অভিযোগ পেয়েছেন। ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নেয়ার জোর চেষ্টা চলছে।