জটিল রোগে আক্রান্ত কলেজ ছাত্রী ঝুমুর বাঁচতে চায়
বগুড়া সংবাদ ডট কম (শাজাহানপুর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান) : সকাল থেকে প্রচন্ড জ্বর। বিকেল থেকে নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। বাম পা অবস হয়ে যায়। এক সময় নিজের থেকে পা সচল হলেও বর্তমানে নাক, কান ও চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। শরিরে রক্ত শুন্যতা দেখা দেয়ায় দুই তিন দিন পর পর শরিরে রক্ত দিতে হচ্ছে। চিকিৎসকরাও রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না। জটিল এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বগুড়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড ছোট বেলাইল গ্রামের কৃষক সুলতান প্রামানিকের মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিন ঝুমুর (২৫)। এমতাবস্থায় ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচ মেটাতে না পেরে সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহার্য্যরে হাত বাড়িয়েছেন দরিদ্র পরিবারটি। ঝুমুরের বাবা সুলতান প্রামানিক জানান, এক মাস আগে তার মেয়ে ঝুমুরের প্রচন্ড জ্বর আসে। সকালে জ্বর আসে বিকেলে নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাত দিন ভর্তি থাকার পর চিকিৎসক ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে কোন প্রকার রোধ ধরা না পরায় বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পর বর্তমানে দুই সপ্তাহ ধরে একই সাথে নাক, কান ও চোখ দিয়ে অঝরে রক্ত ঝরছে। রক্ত ঝরার কারণে শরির রক্ত শুন্য হয়ে অচেতন হয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে শরিরে রক্ত দিলে জ্ঞান ফিরে আসছে। এভাবে সপ্তাহে দুই তিন বার রক্ত দিতে হচ্ছে। ডাক্তারদেরকে চোখ দিয়ে রক্ত ঝরার কথা বললে তারা বিশ্বাস করছে না। সুলতান প্রামানিক আরো জানান, প্রায় ৬ বছর আগে মেয়েকে ট্রাক চালকের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে মেয়ে তার বাড়িতে থেকে রানীরহাট কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজে লেখা পড়া করছে। বর্তমানে তার মেয়ের ৪ ও দেড় বছর বয়সি দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। দরিদ্র পিতার পক্ষে তার মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচেছ। ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছেন না। এমতাবস্থায় সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহার্য্যরে হাত বাড়িয়েছেন তিনি। অগ্রনী ব্যাংক, তিনমাথা রেলগেট, বগুড়া শাখা। সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০০৫১৮৭২২৯। নাম মা স্বপনা বেগম। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোতারব হোসেন জানান, এটি
ব্লাড ডিজিস। বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে। পরিক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়া কিছু বলা যাবে না।