ঝাঁঝ কমছেই না পিঁয়াজ মরিচের
বগুড়া সংবাদ (জিয়াউর রহমান, শাজাহানপুর প্রতিনিধি)
ঝাঁঝ কমছেই না পিঁয়াজ মরিচের। খুচরা বাজারে এখনো ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ।
ভারত ও মায়ানমার থেকে আসা পিঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৯০-৮০ টাকা কেজি। আর মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। এছাড়া কাঁচা তরিতরকারীর বাজারও উর্ধ্বমুখি।
শনিবার দুপুরে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার দুবলাগাড়ী হাটে গিয়ে জানা যায়, ভারত ও মায়ানমার থেকে আসা পিঁয়াজের পাইকারী বাজার প্রায় সমপরিমান হওয়ায় দেশী পিঁয়াজের সমপরিমান দরে ৯০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচ তরিতরকারীর মধ্যে শিম ১’শ, বেগুন ৫০, ফুলকপি ৫০, বটবটি ৫০, আলু ৪০, করলা ৪০, পটল ৪০, ঢেঁড়স ৬০, মুখি কচু ৬০, মুলা ২৫, শশা ৩০ এবং আদা ও রশুন দেড়শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে দুই’শ এবং শলুক বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।
আব্দুল কুদ্দুস নামে এক খুচরা তরিতরকারী ব্যবসায়ী জানান, ভারত থেকে আসা পিঁয়াজ পাইকারী বাজার দেশী পিঁয়াজের সমপরিমান হওয়ায় খুচরা বাজারে আমদানী কম। বিক্রি হচ্ছে দেশী পিঁয়াজের মতই ৯০ টাকা কেজি। বার্মার (মায়ানমার) পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি।
অব্দুস সামাদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, কাঁচা তরিতরকারীর বাজার এখন উর্ধ্বমুখি। গত হাটের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এনিয়ে ক্রেতাদের সাথে বেশী কথা বলতে হচ্ছে। তবে ফুলকপির দাম আগের চেয়ে কমেছে। গত হাটে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। আজ সেটা ৫০ টাকা কেজি।
মানিক নামে একজন ক্রেতা জানান, দিন দিন কাঁচা তরিতরকারীর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত হাটে উন্নত জাতে বেগুন ৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আজ ৫০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে।
মরিচ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। প্রায় প্রতিটি কাঁচা তরিতরকারীই কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশীতে কিনতে হচেছ। এভাবে দাম বাড়তে থাকায় সাধারন ক্রেতাদের নাভীস্বাস উঠতে শুরু করেছে।