সান্তাহারে অটো চার্জার চালকের মেয়ের ঢাবিতে ভর্তি দায়িত্ব নিলেন পৌর মেয়র
বগুড়া সংবাদ ডট কম (আদমদীঘি প্রতিনিধি সাগর খান) : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মেধাবি ছাত্রী সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও অর্থ অভাবে ভর্তি হতে পারবে কিনা এই নিয়ে তার পরিবারের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এমন সংবাদ শুক্রবার বিভিন্ন সামাজিক স্যোসাল মিডিয়াতে যখন প্রচার হতে শুরু করে। ঠিক তার ১দিন পর শনিবার সকাল ৯ টায় ওই মেধাবি ছাত্রী সুমাইয়া বাড়িতে সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু গিয়ে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেয় এবং সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসহ পড়াশুনার খরচের দায়িত্বে তিনি নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেওয়ার ঘোষনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসহ পড়াশুনার খরচের দায়িত্বে নেওয়ার পর থেকে সুমাইয়ার পরিবারসহ প্রতিবেশীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘খ’ ইউনিটের মেধা তালিকায় ২২০১ নম্বরে সুমাইয়ার নাম এসেছে কিন্তু মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও তার ভর্তিতে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। কারন তার বাবা অটো চার্জার চালক। এ মেধাবী সন্তানের জন্য ভর্তির টাকা কিভাবে জোগাড় করবে ? শুধু ভর্তি নয়, কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাবে তা নিয়ে পরিবারের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছিল। সুমাইয়া আক্তার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের ঘোড়াঘাট মহল্লার অটো চার্জার চালক আব্দুল আলিমের মেয়ে। সুমাইয়ার বাবা আব্দুল আলিম সান্তাহার পৌর মেয়র কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজ থেকে আমি আমার মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম। কারন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসহ পড়াশুনার খরচের দায়িত্বে পৌর মেয়র না নিলে হত বা আমার মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যেত। মেধাবি ছাত্রী সুমাইয়া জানান, ঢাবিতে চান্স পেয়েও বাবার পক্ষে ভর্তির জন্য এতগুলো টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। মেয়র সাহেব দায়িত্ব নেওয়ার কারনে আজ থেকে আমি ভর্তি নিয়ে স্বস্তি পেয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন আজ থেকে পূরণ হতে চলেছে। আমি নিজের চেষ্টায় এতদূর এসেছি। এ পর্যন্ত কোনো ক্লাসের সব বই এক সাথে কিনতে পারিনি। ২০১৭ সালে এসএসসি তে জিপিএ ৪.৭৩ এবং ২০১৯ সালে এইচএসসি তে জিপিএ ৫ পেয়েছি। ঢাবিতে লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ায় আমার এখন একমাত্র স্বপ্ন। এ বিষয়ে সান্তাহার পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, আমি সামজিক স্যোসাল মিডিয়াতে শুক্রবার রাতে সুমাইয়া বিয়ষটি দেখেছি। শনিবার সকাল বেলা আমি নিজ উদ্যোগে তার বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মার সাথে কথা বলেছি এবং আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসহ পড়াশুনার খরচের দায়িত্বে নিয়েছি।