দুপচাঁচিয়ার আলতাফনগর খিহালী মোহা. আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ইউএনও’র নিকট আবেদন
বগুড়া সংবাদ ডট কম (দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি আবু রায়হান) : দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাফনগর খিহালী মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী ও অভিভাবকরা পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পুনঃতফসিল ও মনোনয়ন ফরমের মূল্য পুনঃনির্ধারনের জন্য এবং বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করছেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্যদের নির্বাচনের জন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন। সেই তফসিলে আগামী ২২অক্টোবর ভোট গ্রহনের দিন ধার্য করা হয়। তফসিলে অভিভাবক পদের মনোনয়ন ফরমের মূল্য ৫হাজার টাকা এবং শিক্ষক প্রতিনিধির মনোনয়ন ফরমের মূল্য ২হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অভিযোগে তাঁরা আরও উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নফিজ উদ্দিন ও বর্তমান সভাপতি আব্দুল বারিক যোগসাজসে নিজের খেয়াল খুশিমত বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকেন। অন্য কেউ এই কমিটিতে যাতে না আসতে পারে সে জন্য গত ২মেয়াদের ন্যায় এবারও একই কায়দায় মনোনয়ন ফরমের মূল্য বেশি করে প্রধান শিক্ষকের আস্থাভাজন বর্তমান সভাপতি ও তার নিজস্ব লোকদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার পাঁয়তারা করছেন। প্রধান শিক্ষক নির্বাচনের জন্য খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডেও ঝুলিয়ে দেননি। তফসিল ঘোষনার পূর্বে প্রধান শিক্ষক পরিচালনা পর্ষদ গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা সভায় বর্তমান সভাপতিকে বহাল রাখার জন্য শিক্ষকবৃন্দকে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক দ্বিমত পোষণ করলে সহকারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে হয়রানী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন থাকেন। ইতিপূর্বে সভাপতি একজন সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার কারণে আদালতে মামলাও হয়েছিল। এলাকার অভিভাবকরা কৃষক শ্রেণির হওয়ায় ফরমের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে এনে পুননির্ধারণ করে পুনঃরায় তফসিল ঘোষনার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পৃথক পৃথকভাবে গত ২৩ ও ২৫ সেপ্টম্বর লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগের অনুলিপি শিক্ষা সংক্রান্ত সকল দপ্তরে প্রেরণ করেন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ও বিদ্যালয়ের লেখা পড়ার মানোন্নয়ন, সার্বিক উন্নতি, শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। বিদ্যালয়ের ১৪জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগে ১৩জনই স্বাক্ষর করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নফিজ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষক ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে ছাড়া শিক্ষকরা একটি সভা করলে সভা চলাকালীন সময়ে আমি উপস্থিত হলে শিক্ষকদের সঙ্গে আমার বাকবিতন্ডা হয়। মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের অর্থ নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালয় পর্ষদের সভাপতি আব্দুল বারিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি, অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মনোনয়ন ফরমের মূল্য কমাতে বলা হয়েছে। তিনি ফরমের মূল্য কমানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।