শেরপুরে ঘোলাগাড়ী ভাঙা কালভার্ট এখন মরণ ফাঁদ
বগুড়া সংবাদ ডটকম ( শেরপুর প্রতিনিধি কামাল আহমেদ): বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঘোলাগাড়ী কলোনীর প্রবেশ মুখেই নির্মিত কালভার্ট রয়েছে। কিন্তু কালভার্টের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ফলে ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি ভাঙা কালভার্টের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় গোলাগাড়ী কালানী, আশবাড়ী, খোট্টাপাড়া, পেঙ্গপাড়া, বাঘমারা, হাটদিঘী, নদীয়া, বীরগ্রাম, ভাদাইশপাড়া সহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তী পোহাচ্ছে। গ্রামের মানুষেরা ওই রাস্তা দিয়ে শহরে যাতায়াতে ব্যহত হচ্ছে। তাছাড়া কৃষিনির্ভর গ্রামগুলোর মানুষ তাদের উৎপাদিত রকমারি কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতে পারছেন না। এবং কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়স্ক মানুষের চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সেদিকে কোন নজর নেই। বর্তমানে শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতিতে কিছুটা পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে ওই গ্রামের মানুষদের। তবে কৃষি সমৃদ্ধ গ্রামটির মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি। সেজন্য ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শেরপুর শহর হতে উচড়ং যাওয়ার পথে সাধুবাড়ী থেকে দক্ষিণ দিয়ে যাওয়া ঘোলাগাড়ী কলোনীর প্রবেশ মুখের কালভার্টটির অর্ধেক পরিমাণ ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কের ওই ভাঙা কালভার্ট দীর্ঘদিনেও মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর অবহেলার কারণে ভাঙা কালভার্টটি সংস্কার না করায় সড়কটি চলাচলের অনুপোযী হয়ে পড়েছে। অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে এবং ভাঙ্গা কালভার্টে প্রায়ই ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। গ্রামবাসী উজ্জাল, রোস্তম, দুলাল ও পথচারী মোকছেদ, রায়হান, পলাশ, জাফর বলেন, বেশ কিছুদিন হলো কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ে আছে রাতের অন্ধকারে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরমধ্যে গোলাগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মানের জন্য পাথরের ট্রাক যাওয়ায় আরো চালাচলের অনুপাযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তাটি। অতিরিক্ত ৩কিঃমিঃ রাস্তা ঘুরে কানাইকান্দর দিয়ে যাতায়াত করছে অনেকে। তারা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গুরুত্ব দিলে কালভার্টটি অনেক আগেই মেরামত করা সম্ভব হতো। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এই গ্রামগুলোতে আসেনি তার কোন গুরুত্ব নেই বললেই চলে। অত্র ওয়ার্ড মেম্বর মোকসেদ বলেন, আমাদের হাতে তোমন কোন বরাদ্ধ না থাকায় কাজটি করা সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অত্র শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল- আমিনকে ইউনিয়ন পরিষদে না পেয়ে মোবাইলে কল করলে তিনি কল রিসিভ না করলে, শাহবন্দেগী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মাহমুদুল হাসান লিটন এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অনেক আগেই কালভার্ট গুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর আর কোনদিন মেরামতের কাজ করা হয়নি। তবে ভাঙ্গা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে কোন বরাদ্ধ পেলে সংস্কারের কাজ করা হবে।