কাহালুতে এনজিও কর্মী শাহরিয়ার হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজু সহ গ্রেফতার-৪ মামলার রহস্য উদঘাটন
বগুড়া বগুড়া সংবাদ ডট কম (কাহালু প্রতিনিধি এম এ মতিন) : “উদ্দীপন” এনজিও বগুড়ার কাহালু শাখার কর্মী এস এম শাহরিয়ার (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজু আহম্মেদ সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন কাহালু থানা পুলিশ। বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) আহম্মেদ রাজিউর রহমান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলাম দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাহালু থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহমুদ হাসান ও কাহালু থানার সেকেন্ড অফিসার ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ বরিশাল জেলার মুলাদী থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার দূর্গম এলাকা হতে গত ২১/০৯/১৯ইং তারিখ বিকেলে মামলার প্রধান আসামী রাজুআহম্মেদ (২৫), রাজুর পিতা আমজাদ হোসেন ওরফে ওসমান (৫২), মা মর্জিনা বেগম (৪৫) ও রাজুর স্ত্রী নাজমা বেগম (২৩)কে গ্রেফতার করেন। উক্ত ৪ জন আসামী বাড়ী বগুড়ার সদর উপজেলার এরুলিয়া বানদীঘিগ্রামে। আসামীরা কাহালুর দামাই গ্রামের মিলু হাজীর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। সোমবার বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) আহম্মেদ রাজিউর রহমান কাহালু থানায় প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদেরকে জানান, এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। মামলার প্রধান আসামী রাজু আহম্মেদ সহ অন্যান্য আসামীরা টাকা ও মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য এনজিও কর্মীশাহরিয়ারকে টার্গেট করে। গত ১৭/০৯/১৯ইং তারিখ দুপুর ২ টায় দিকে মামলার প্রধান আসামী রাজু তার ভাড়া বাড়ীতে টাকা ও মোটর সাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কৌশলী এনজিও কর্মী শাহরিয়ারকে ডেকে নেন। আসামীরা শাহরিয়ারকে মাথায় ভারী শীল দ্বারা একাধিকবার আঘাত করিয়া মাথা থেতলিয়া ও পরে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া মৃত্যু নিশ্চিত করিয়া আনুমানিক ৪৩ হাজার টাকা ও মোটর সাইকেল হাতিয়ে নেয়। তারপর আসামীরা শাহরিয়ার লাশ ভাড়া বাড়ীর ঘরের ভেতরে বিভিন্ন প্লাষ্টিকের ও চটের বস্তা এবং কাপড় দ্বারা গুম করে রাখে। গ্রেফতারের সময় আসামীদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত, লুন্ঠিত অর্থের মধ্যে ২১ হাজার ৭ শত টাকা ও একটি নকিয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা হত্যাকান্ডের দোষ স্বীকার করেছেন। সোমবার গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাহমুদ হাসান, কাহালু থানার সেকেন্ড অফিসার ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা প্রমূখ। উল্লেখিত যে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর এনজিও কর্মী শাহরিয়ার মোটর সাইকেল নিয়ে কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের শিকড় গ্রামে কিস্তি তুলে দরগাহাট বাজারের দিকে ফিরে আসার পথে মোটর সাইকেল সহ নিখোঁজ হন। দুপুর ২টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় উদ্দীপন এনজিও কাহালু শাখার শাখা ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম ঐদিন রাতেই কাহালু থানায় ১টি সাধারণ ডায়েরী করেন। উক্ত ডায়েরীর পরিপ্রক্ষিতে কাহালু থানা পুলিশ তাকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক তথ্যানুন্ধান এবং অভিযান শুরু করে। থানা পুলিশ গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে কাহালুর দামাই গ্রামের মিলু হাজীর বাড়ী হতে এনজিও কর্মী শাহরিয়ার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাহরিয়ার স্ত্রী চায়না বেগম বাদী হয়ে এজাহারভুক্ত ৫ জনকে আসামী করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামী করে কাহালু থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।