fbpx
বগুড়া জেলার সংবাদশেরপুর

শেরপুরে শালফা-গজারিয়া রাস্তা এখন মিনি সমুদ্র সৈকত ॥ জনতার স্রোত

বগুড়া সংবাদ ডটকম (শেরপুর প্রতিনিধি কামাল আহমেদ) : শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের অবহেলিত শালফা-গজারিয়া ২ কিলোমিটার রাস্তাটি উচু ও পাকাকরণ হওয়ায় সেটি এখন ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাটি এখন মিনি সমুদ্র সৈকতে পরিনত হওয়ায় প্রতিদিন বিকেলে জনতার ঢল নামছে।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর প্রচেষ্টায় রাস্তাটি পাকা হওয়ায় বন্যা কবলিত প্রায় ৪টি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ দুর হয়েছে। প্রতিদিন বন্যার পানি দেখতে সেখানে ভীড় জমাচ্ছে হাজার হাজার নারী পুরুষ, যুবক যুবতী ও শিশুরা। রাস্তার চারিদিকে থৈ থৈ পানি আর খোলা হাওয়া পেতে শহুরে মানুষ ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। নতুন রাস্তাটিতে এতো মানুষ আসার কারনে কর্মসংস্থানে সুযোগ হয়েছে অনেকের। রাস্তার দু’ধারে চটপটি, ফুসকা, বাদাম, পিয়ারা, আখের রস ও চানাচুর মাখামাখির দোকান বসেছে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য। মানুষের ঢলে বিসৃঙ্খলা এড়াতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রবি চন্দ্র ও নারায়ন নামে ২ জন চৌকিদারকে পাহারায় রাখা হয়েছে। যাতে করে কেউ কালভার্টের উপর থেকে লাফাতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখছে তারা। এছাড়াও মাঝে মধ্যেই শেরপুর থানা পুলিশের সদস্যরাও মহরা দিচ্ছে সেখানে।
এলাকাবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ফকির, ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ, প্রভাষক ইনছান আলী জানান, রাস্তাটি নির্মিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের যেমন দুর্ভোগ কমেছে তেমনি ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদনের চাহিদাও মিটছে। এখানে প্রতিদিন বিকেলে জন স্রোতে পরিনত হয়। যদিও বেশি লোকজনের জন্য নব নির্মিত এই রাস্তাটির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু মানুষের বিনোদনের খোরাক হওয়ায় কিছু বলা যাচ্ছেনা।
গাজিপুর জেলা থেকে ভ্রমন করতে আসা ব্যবসায়ী এরশাদ মাহমুদ বলেন, ফেসবুকে শালফা-গজারিয়া রাস্তাটির লোকেশন দেখতে এসেছি। দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি মিনি সমুদ্র সৈকত। আমার খুব ভাল লাগছে এখানে এসে।
এ বাপারে খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরেই এই রাস্তাটি করেছি। এখানে এতো মানুষ বিনোদনের জন্য আসবে আমি ধারনা করতে পারিনি। এখন যে পরিস্থিতি দেখছি তাতে আগামি বছর আবারো রাস্তাটির মেরামত কাজ করতে হবে বলে মনে হচ্ছে। তবুও আগামি দিনে রাস্তার দু’পাশে বিনোদন প্রিয় মানুষদের জন্য আমি বসার ব্যবস্থা করবো।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, শালফা-গজারিয়া রাস্তাটিতে আমি গিয়েছিলাম। আমার অত্যন্ত ভাল লেগেছে। আগামি দিনে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই রাস্তাটি ভ্রমন পিপাসুদের জন্য আরো উপযোগি করে তোলা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =

Back to top button
Close