ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে নন্দীগ্রামে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ
বগুড়া সংবাদ ডট কম (নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি মো: এফএফ সরকার) : বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষক বাবলুর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ওই মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষকার্থীসহ এলাকাবাসী। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় মাদরাসা চত্বরে আধাঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ধর্ষক ওই মাদরাসার দপ্তরি আলমগীর হোসেন বাবলুর শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দেয় মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীরা। মানববন্ধন শেষে ধর্ষক আলমগীর হোসেন বাবলুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একরামুল হক, মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা একরাম হোসেন, সমাজ সেবক হাফিজুর রহমান, আমজাদ হোসেন, আব্দুস সালাম, অপিল উদ্দিন, শিক্ষার্থী নাঈম, সাকিব আল হাসানসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
এদিকে শনিবার দুপুরে ওই মাদরাসার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ক্লাশ শেষে বাবলুর বাড়ির পাশ দিয়ে ফিরছিল। এ সময় বাবলু তার নাতীর জন্ম হওয়ার খবর জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা শিশুটিকে বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি খেতে দেয়। বাবলুর স্ত্রী ও ছেলের বউ সহ সবাই হাসপাতালে থাকায় বাড়ি ফাকা ছিল। এই সুযোগে বাবলু শিশুটিকে ধর্ষন করে বাড়িতেই আটকে রাখে। দুপুরের পর শিশুটির চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন বাড়িতে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে ধর্ষনের ঘটনা শুনে বাবলুকে আটক করে গনধোলাই দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে বাবলুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
মাজগ্রাম এমএ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী জানান, এ মাদরাসাতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, যে কর্মচারী তাদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। সে কর্মচারী এ প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবে না। তাই মাদরাসার দপ্তরি আলমগীর হোসেন বাবলুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সেই সাথে তার বরখাস্তের বিষয়ে মাদরাসা অধিদপ্তরে আবেদন করা হবে। কুমিড়া পন্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আজিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।