বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করুন -সিপার আল বখতিয়ার
বগুড়া সংবাদ ডট কম : বগুড়া জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ার বলেছেন, ১৭ মাস ধরে তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছে অবৈধ আওয়ামী সরকার। তাঁরা আদালতকে প্রভাবিত করে বারবার জামিন বিলম্বিত করছে। সরকারের পাঁয়তারা আর নানামূখী প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়িতে দিন দিন জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। পাশাপশি নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের জন্য রাজপথে নামতে নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্র করে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে যত মামলা দেয়া হয়েছে সব রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক। শহর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ বিন বিল্লাহ শান্ত, খোরশেদসহ সকল নেতাদের নিঃশ্বর্ত মুক্তি দাবি করছি। তিনি আরও বলেন সরকার পতন আন্দোলনে আমরা যুবনেতা ইউসুফকে হারিয়েছি, কমরেড গুলিবিদ্ধ, শিহাব পা হারিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শাহ মোঃ মেহেদী হাসান হিমু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে শত শত মামলা মাথায় নিয়ে জেল খেটেছি। অনেক কর্মী পুলিশের গুলিতে পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অথচ সেইসব ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে মেকআপ করা লিঁয়াজোবাজ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী বিএনপি’র লেবাজধারী নেতাদের দিয়ে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। তাদেরকে পার্টি অফিস তো দুরের কথা বগুড়ায় ঢুকতে দেয়া হবেনা। বগুড়াবাসী সাক্ষি আছে কারা আন্দোলন করেছে আর কারা ঘড়ে বসে এসির হাওয়া খেয়ে লিঁয়াজো করে নিজেদের পিঠ ও পেট বাঁচিয়ে চলেছে। অচিরেই সেই সমস্ত ত্যাগী কর্মীরা যদি মূল্যায়িত না হয় তবে এবার বগুড়ায় যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য সিপার-হিমু-পরিমল, বিটু, পিপলুরা দায়ি থাকব না। নেতা-কর্মীরা তাদের অস্তিত্ব’র জন্য যার যা করা উচিত তাই করবে। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এবং তারেক রহমানকে স্বসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। রোববার বিকেলে শহরের নবাববাড়ি সড়কস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবকদলের যৌথ উদ্যেগে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম ফারুক, সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন হিটলু, মোস্তফা কামাল ডন, জুম্মান আলী, ফারুক হোসেন, মহররম হোসেন টপিন, ফুয়াদ, জিতু, সাইমুম, পলাশ, খান আলতাব, রুহুল আমিন, হিরা, সন্তোষ, আতিক মোল্লা, মামুন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিঃ আপেল, সঞ্জয়, মমি, মমিন, রাজিব, বাবু, আঃ মান্নান, সোহাগ, রাঙ্গা, এনামুল, শাকিল, শিবলু, হারুন, রাসেল, দুখু, কাঁকন, বিপ্লব, মনা, আরাফাতসহ জেলা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তির।