বগুড়র নন্দীগ্রামে আসামীর হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর দুইজন গুলিবিদ্ধ : আটক ১
বগুড়া সংবাদ ডট কম : বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয়েছে ২ জন। এরা হলেন জামাল হোসেন (৪০) ও পুটু মিয়া (৫০)। এ সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে পিস্তলসহ আব্দুস সালাম (২৮) নামের এক যুবককে আটক করে এবং তার ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। শুক্রবার রাত ৮ টায় নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষন চেচুয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বর্ষন চেচুয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদসহ কয়েকজন জানায়, শুক্রবার রাতে চেচুয়াপাড়া গ্রামের রাস্তায় অপরিচিত চার যুবক মটর সাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় গ্রামের রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা লোকজন তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা গুলি বর্ষন করে। এতে জামাল ও পুটু পায়ে, হাতে গুলিবিদ্ধ হন। চার যুবক পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে আব্দুস সালামকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এরপর তার মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া ছাড়াও তাকে গনপিটুনী শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌছে আব্দুস সালামকে তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর তার দেহ তল্লাশী করে পকেট থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, হত্যা মামলার আসামীকে বাড়িথেকে ডেকে নিয়ে হাতপা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে গুলির ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসি আব্দুস সালাম নামের এক যুবককে পিস্তলসহ আটক করে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে। গ্রামবাসীকে, শান্ত থাকার আহবান জানানো হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আটক সালাম হায়দার হত্যা মামলার বাদী গফুরের জামাই পরিচয় পেয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী গফুর ও তার পরিবারের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে নিবৃত করে।
বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আসলাম আলী জানান, গুলিবৃদ্ধ ২ জনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ১২ডিসেম্বর একই গ্রামের হায়দার হত্যা মামলার আসামী আনোয়ার হোসেন শাহীন। তিনি সম্প্রতি জামিনে মুক্তিপান। গত বুধবার গভীর রাতে নিহত হায়দারের স্বজনেরা শাহীনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে আটকে রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও এক হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়। ভোর রাতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এঘটনার পর থেকে গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।