নন্দীগ্রামে হাতুড়ি দিয়ে আসামীকে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে বাদী
বগুড়া সংবাদ ডট কম (নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি মো: ফিরোজ কামাল ফারুক) : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হা-পা ভেঙ্গে দিয়েছে বাদী ও তার লোকজন।
তাকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে। সে আনোয়ার হোসেন শাহীন (৩৮) উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষন চেচুয়াপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের হায়দার আলী হত্যা মামলার আসামী।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পরিচিত লোকজন শাহীনের বাড়িতে গিয়ে মেশিন মেরামত করার কথা বলে ডেকে বের করে। এরপর তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আব্দুল আলীমের বাড়িতে। সেখানে আটকে রেখে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও এক হাত ভেঙ্গে দেয়।
এ সময় শাহীন চিৎকার করলে তার পরিবারের লোকজন থানায় থানায় খবর দেয়। এ সময় ঘরের জানালা ভেঙ্গে রাত তিনটার দিকে পুলিশ আলীমের ঘর থেকে শাহীনকে হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ গফুরের ভাতিজা নূর ইসলাম টিপু ও হাফিজার রহমানকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আলীমের ভাই হায়দার আলী খুন হয়। সেই খুনের মামলার বাদী আলীমের চাচা আব্দুল গফুর। আসামীদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন শাহীন একজন।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত কবির জানান, রাতে শাহীনকে হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।