আদমদীঘিতে দর্জ্জি শ্রমিক কে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা, ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়া সংবাদ ডট কম (আদমদীঘি প্রতিনিধি সাগর খান) : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের একটি রাস্তায় সজল হোসেন (২৮) নামের এক দর্জ্জি শ্রমিককে রামদা, চাইনিজ কুড়াল’সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় একই গ্রামের ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গুরুতর আহত সজল কে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশাংকাজনক বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আসামীরা হলেন, দমদমা গ্রামের মারুফ, উৎসব, নাঈম, মিলন, মিজানুর, জাকারিয়া ও শাকিল সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।
এজাহার ও মামলার বাদি আহত সজলের ভগ্নিপতি আতোয়ার হোসেন জানান, সজল হোসেন সান্তাহার শহরের অনার্স টেইলার্সে দর্জির কাজ করেন। গত ১৫ আগস্ট কাজ শেষ করে রাত আনুমানিক ১০’টার সময় নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে ওই গ্রামের পুরাতন স্কুলের সামনে পৌছা মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই গ্রামের মারুফ সহ ১০/১২ জন ব্যাক্তি হাতে লোহার রড, চাকু, চাইনিজ কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জীত হয়ে সজলের পথরোধ করে এবং তাঁকে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমে আহত করে এবং সজলের নিকটে থাকা ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সজলের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহত সজলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। সেখানে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে আহত সজলের ভগ্নিপতি আতোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, একই আসামীদের বিরুদ্ধে ওই গ্রামের আরো দুই জনকে মারপিট’সহ বাড়ি এবং দোকান ভাংচুরের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।