লকডাউন অমান্য: ভ্রাম্যমান আদালতে বগুড়ায় ৯৭টি মামলায় প্রায় ৮১ হাজার টাকা জরিমানা
সঞ্জু রায় : দেশব্যাপী চলা কঠোর বিধিনিষেধের ২য় দিনে বগুড়ায় সারাদিন কঠোর অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায় পুরো জেলাজুড়ে বিধিনিষেধ অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালতের ৯৭টি মামলায় জরিমানা করা হয়েছে মোট ৮০ হাজার ৬’শ টাকা।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম এর সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও ও এসি ল্যান্ডের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত এবং বগুড়া শহরে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটগণের পৃথক পৃথক অভিযানে ১৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯২ জনকে বিধিনিষেধ অমান্য করায় জরিমানা করা হয়েছে ৬০ হাজার ৯’শ টাকা যার মাঝে শুধু বগুড়া শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যেমন সাতমাথা, দত্তবাড়ি, মাটিডালি, রাজাবাজার, ফতেহআলী বাজার, জলেশ^রীতলা, খান্দার. সেউজগাড়ি, বউবাজার, কলোনী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সারাদিন প্রায় ৬টি মোবাইল কোর্ট ছিল যেখানে ৩২টি মামলায় ৩২ জনকে করা হয়েছে ১৯ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা।
এদিকে বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসনের এনডিসি জিএম রাশেদুল ইসলাম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন পৃথক ২টি ভ্রাম্যমান আদালতে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এবং ঔষধ আইন, ১৯৪০ অনুযায়ী পৃথক ৫টি মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৭’শ টাকা। যার মাঝে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীনভাবে অক্সিজেন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার এবং শহরের ফুলপট্টিতে বিধিনিষেধ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় বাকি ৯ হাজার ৭’শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযানে শহরের নর্থওয়ে মোটেল, হোটেল সিয়েসটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিধিনিষেধ পালনে সকলকে কঠোরভাবে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয় অভিযানে।
মুঠোফোনে এনডিসি রাশেদুল ইসলামের কথা বললে তিনি জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে রাত পর্যন্ত তাদের ভ্রাম্যমান আদালত চলমান থাকবে। শনিবার বিধিনিষেধের ২য় দিনে বগুড়ায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতে ৯৭টি মামলায় জরিমানা করা হয়েছে মোট ৮০ হাজার ৬’শ টাকা একই সাথে তারা দিনব্যাপী চেষ্টা করেছে সাধারণ মানুষকে ঘরমুখী করতে এবং সচেতন করার।
এদিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। গণমানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে অসচেতন ও বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান কঠোরভাবে চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।