বগুড়া সংবাদ ডট কম : কোর্ট থেকে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানায় প্রেরিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার বৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র মোঃ খাদেম আলী প্রাং এর পক্ষে তার ভাতিজা মোঃ জয়নাল আবেদীন। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবত ওমর পুর সি এন জি স্ট্যান্ডে চেইন মাষ্টার হিসাবে কর্মরত আছি। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৩০/৫/২০১৭ ইং তারিখে রাত অনুমান ৮-৩০ মিঃ হতে ৯-০০ টার সময় আমার ছেলে ভিকটিম সাইফুল ইসলাম ওমরপুর স্ট্যান্ড থেকে বাড়ি ফেরার পথে উক্ত গ্রামের হাদুর বাড়ির নিকট পৌঁছা মাত্রই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওঁত পেতে থাকা আসামী ১। মোঃ ছমির প্রাং পিতা মৃত মনছে ও প্রাং ২। মোঃ আব্দুল লতিফ পিতা মোঃ হায়দার আলী ৩। মোঃ আব্দুল মজিদ পিতা মৃত হামেদ আলী ৪। মোঃ হায়দার আলী পিতা মৃত হামেদ আলী ৫। মোছাঃ পিয়ারা বেওয়া জং মৃত মনছের আলী ৬। মোছাঃ খালেদা আক্তার জং মোঃ জাকির হোসেন সর্ব সাং কৃষ্ণপুর থানা নন্দীগ্রাম জেলা বগুড়াগন সংঘবদ্ধ ভাবে দেশি অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিম সাইফুলকে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতারি মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। আসামীরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে তারা যাওয়ার সময় ভিকটিম সাইফুলের পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। ঘটনার পর আমি স্বাক্ষী মো: আব্দুল কাদের, মো: হাসান আলী, মহিদুল গংদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং আমার ছেলেকে মুমুর্ষ অবস্থায় নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহামন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। চিকিৎসারত অবস্থায় আসামী পক্ষ উক্ত মারপিটের ঘটনার আপোষ মিমাংশার প্রস্তাব দেয়। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে তারা আপোষের নামে কালক্ষেপন করতে থাকে। অবশেষে আমি নিরুপায় হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করতে গেলে আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এবং আমাকে কোর্টে মামলা করতে পরামর্শ দেয়। থানার পরামর্শ মতে আমি নিরুপায় হয়ে গত ০৬-০৬-২০১৭ইং তারিখে নন্দীগ্রাম নিসিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-২ আদালতে মামলা দায়ের করি। যার নং সি/২০১৭ নন্দীগ্রাম। আইনের ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ (২)/৩৪ দ:বি:। কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক উক্ত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দালিখ করার জন্য ওসি নন্দীগ্রাম কে নির্দেশ প্রদান করেন। থানায় মামলাটি প্রেরনের পর নন্দীগ্রাম থানার ওসি মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই এনামুল হক কে নির্দেশ দেয়। এসআই এনামুল হক মামলাটির তদন্তভার নিলেও সে মামলাটি তদন্ত করতে গড়িমশি করতে থাকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার তদন্তের পরিবর্তে আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলে আমি গোপন সূত্রে জানতে পারি। আমি মামলার তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে আমার ও ভিকটিম সাইফুলের চরম নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত গাফিলতির কারনে আমার পরিবার হুমকির মুখে। প্রিয় কলম সৈনিক ভাইয়েরা, আমি আপনাদের ক্ষুরধার লেখনের মাধ্যমে আমার মামলাটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে যাতে আমার নিরাপরাধ পুত্র ভিকটিম সাইফুলের আঘাতকারীদের সুবিচার হয় এই আবেদন জানাচ্ছি।
প্রচ্ছদ বগুড়া সংবাদ বগুড়া সদর কোট থেকে থানায় প্রেরিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বগুড়ায় সাংবাদিক সম্মেলন