বগুড়া সংবাদ ডট কম (আদমদীঘি প্রতিনিধি সাগর খান) : ষ্টেশন প্লাটফর্মে গরুর অবাধ বিচরন ও অত্যাচার ঠেকাতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তা চেয়ে ওই দুই দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম। তিনি ওই দুই দপ্তরসহ রেলওয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় দপ্তরে চিঠির অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
ষ্টেশন মাস্টারের দপ্তর থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সান্তাহার জংশন ষ্টেশন ও এর আশপাশের এলাকায় গরুর অত্যাচার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত গরু ষ্টেশনের প্লাটফর্মে অবাধে বিচরন করে। এ সকল গরুর মল মূত্রে প্লাটফর্ম নোংরা হয়ে যায়। এতে করে ট্রেন যাত্রীদের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় গরুর গোবরে পা পড়ে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটেছে। ষ্টেশন এলাকার দোকানদার দিলদার হোসেন বলেন, গরুর অত্যাচারে দোকানীসহ যাত্রী সাধারন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
এ সকল গরু দোকানের নানা পন্য খেয়ে ফেলে পাশাপাশি যাত্রীদের মালামালে প্রসাব পায়খানা করে নষ্ট করে দেয়। ট্রেন যাত্রী এনামুল হক ও মুনছুর আলী বলেন, কোন ষ্টেশনে গরুর এ ধরনের অবাধ বিচরন কখনো দেখিনি। বিরাট আকৃতির গরু বিচরনে শিশুরা আতংকিত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, প্লাটফর্মের একাধিক জায়গায় গরুর গোবর পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অসাবধনতাবশত যে কোন কেউ গোবরে পা পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। গরু মালিক কালু মিয়া জানান, গরু চড়ানোর কোন জায়গা না থাকায় ষ্টেশনের আশপাশে গরু ছেড়ে দেই। অনেক সময় গরু ষ্টেশনে উঠে পড়ে। তিনি বলেন, এরপর থেকে গরু বেঁধে রাখবো।
সান্তাহার জংশন ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, গরু মালিকদের ষ্টেশন এলাকায় গরু ছেড়ে না দেয়ার জন্য অসংখ্যবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা স্থানীয় হওয়ায় আমার কথা মানতে চান না। নিরুপায় হয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সহয়তা চেয়েছি। সান্তাহার রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসি আকবর হোসেন চিঠি পাওয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।